আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার : আ.লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী ও আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনিয়ম দুর্নীতির পূর্বক শত কোটি টাকা উপার্জন করেছেন সেগুন বাগিচা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার। এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা বারোটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আ. কুদ্দুস মিয়া (৬৫)। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার হানুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মো. আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার। আ.লীগের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে এই আবুল বাশার আমার এবং আমার বোনের এসএ খতিয়ান নং- ২৮৭, এসএ- ৬২০ ও ৬২১ দাগের ৭০ শতাংশ ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।

এ ঘটনায় আমি (কুদ্দুস মিয়া) বাদী হয়ে গত ১২/০৩/২৫ ইং তারিখে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ তথা স্পেশাল জজ আদালতে আবুল বাশারসহ ৪ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করি। অপরদিকে হানুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খালেক মিয়ার ছেলে মো. জামাল হোসেন মিয়া (৪৭) বাদী হয়ে গত ২৫/০১/২৫ ইং তারিখে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে আবুল বাশারসহ ৬ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আবুল বাশার- জি.আর ২৯৬/২৪ (বাকেরগঞ্জ), মামলার ০৩ নম্বর আসামি ও জি.আর ২৬/২৩ (বাকেরগঞ্জ), মামলার ০২ নম্বর আসামি।

অবৈধভাবে আবুল বাশর তার বাবার নামে বাকেরগঞ্জের হানুয়া গ্রামে সূর্য ইটভাটা চালু করেন। যেটি বর্তমানে এ.এইচ ব্রিকস নামে পরিচিত। গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ঢাকায় ৫ তলা ভবন, নামে বেনামে রয়েছে প্লট, নিউ মার্কেট সোনার দোকান সহ নানা ব্যবসার সাথে জড়িত ।

আবুল বাশার ফেসিস্ট আ.লীগ শাসনামলে ৭নং করাই ইউনিয়ন আ.লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আ.লীগের মিছিল মিটিং এবং জনসভায় অর্থ দিয়ে সহায়তা করছিলেন। ২০২৪ ইং সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এলাকায় এসে আ.লীগের সংসদ প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক এর পক্ষে প্রভাব খাটিয়ে ভোট কারচুপিতে সহায়তা করেছিলেন।

৫ আগস্টের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে টাকা খরচ করছে ও বিএনপি নেতাদের সাথে সেলফি তুলে নিজকে বিএনপির কর্মী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মুঠোফোনে আবুল বাশার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক এ সব চলছে। আর আমি কখনও আয়না ঘরের বৈদ্যুতিক দায়িত্বে ছিলাম না। চাকুরি জীবনে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এর বাহিরে যাবার সুযোগ নেই।