ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৫

ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত একজনসহ দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন সংলগ্ন আম বাগানে কয়েক দফায় এ মারামারির ঘটনা ঘটে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রুপ, উপগ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভা চলাকালীন বসার সিট দখল ও সিঁড়ি থেকে নামার সময় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে আলোচনা সভা শেষে ছাত্রলীগের একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এসময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়দানকারী আকিব, শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুক্তারিক সাবিককে ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাবিক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এছাড়া মারামারিতে ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিহাবসহ মোট ৫ জন আহত হয়।

আহত ছাত্র মুক্তারিক সাবিক বলেন, সিঁড়ি থেকে নামার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে অনুষ্ঠান শেষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় আকিব নামের এক শিক্ষার্থী আমাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আমার বন্ধু ও সিনিয়ররা আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।

‘ছাত্রলীগ বলেই তদন্তে গড়িমসি করছে প্রশাসন”ছাত্রলীগ বলেই তদন্তে গড়িমসি করছে প্রশাসন’

তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আকিব বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কখনোই ছুরি নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে পারি না। উল্টো আমার ওপর অতর্কিতভাবে কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে। আকিব নিজেকে জিয়া হল ছাত্রলীগের এক নেতার কর্মী বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে তবে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। আমরা বিস্তারিত জেনে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।