ইসরায়েল যতদিন যুদ্ধবিরতি মানবে, ততদিন হামাসও মানবে


বরিশালটুডে ডেস্ক: ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যতদিন যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তাদের সংগঠনও ততদিন মেনে চলবে।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এক ভিডিওবার্তায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এ কথা বলেন হানিয়া।

ভিডিওবার্তায় হামাসের চেয়ারম্যান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ; বন্দি বিনিময় সম্পূর্ণ করা; গাজাকে অবরোধমুক্ত করা সম্পর্কিত সব কিছুই করতে রাজি আমরা। আল আকসা মসজিদে হামলা প্রতিরোধ করতে সবকিছুই করতে প্রস্তুত আছে হামাস। ইসরায়েল যতদিন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে হামাসও ততদিন মানবে।

গত বুধবার (২২ নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করেছে মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, চুক্তি অনুসারে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। প্রতিশ্রুত চুক্তি অনুযায়ী দুই পক্ষই বন্দি বিনিময় করছে। হামাস ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

এ মুক্তির পেছনে সংগঠনটির শর্ত ছিল ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে হবে। শর্ত মেনে ইসরায়েল ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের তালিকা ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন হামাস যে কয়জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তার তালিকা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে, কতজনকে হামাস মুক্তি দেবে সে ব্যাপারে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনো তথ্য জানায়নি।

হামাস এখন পর্যন্ত যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ১২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, বাকিরা ইসরায়েলের।

অন্যদিকে যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ২৪ নারী ও ১৫ শিশু রয়েছে।