উপকূলে দুর্বল ‘হামুন’, নামলো বিপৎসংকেত!

বরিশালটুডে ডেস্ক: কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটি মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল।

একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এর পরিবর্তে চারটি বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়ার সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৫) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং এটি দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরেও ৫ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এর পরিবর্তে এ দুটি বন্দরকেও ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেতে দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টার পর ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি রাত ৩টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত নয় জেলায় এক লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিল বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সূত্রে জানা গিয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হামুনের বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রমের কথা ছিল। কিন্তু এটি আরও পূর্ব দিকে ঘুরে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পুরো অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে।

ঘূর্ণিঝড় হামুন পূর্বে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলের দিকে মোড় নেওয়ায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অনেক অঞ্চলের মানুষকে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। যদিও রাত ৮টার মধ্যে ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে দেওয়াল ও গাছে চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।