বরিশালটুডে ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও বৈষম্যের কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। সড়কে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবি করছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তারা সংগীত পরিবেশন, সড়কে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অবরোধে মারাত্মক ভোগান্তিতে রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রী ও পরিবহনগুলো।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর বিভিন্ন স্থানে বর্বর হামলা হয়েছে। আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই। আমরা সরকারের কাছে অধিকার চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যা দিয়েছেন তা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশা করেনি। আর এখন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনে হামলা করে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে চাইছে।
সুজয় শুভ নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, অহিংস আন্দোলনে হামলা করে ন্যায্য আন্দোলন থেকে আমাদের সরাতে চাইছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি যতই রাজাকার বলুক আমাদের আন্দোলন চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা সড়কে নেমেছি। আমরা তো এখন পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু আমাদের সড়কে নামতে বাধ্য করেছে। সারা দেশ জেগে উঠেছে। কোনো বল প্রয়োগ আমাদের ঘরে ফেরাতে পারবে না। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।
বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআর মুকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন। যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।