নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে-মুহাম্মদ হারুন

বরিশালটুডে ডেস্ক: জনগণের স্বার্থে নাশকতাকারীদের সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, আপনারা যে অগ্নিসন্ত্রাসের পথটি বেছে নিয়েছেন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সেখান থেকে সরে আসুন। অন্যথায় নাশকতাকারীরা যেখানেই থাকুক, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। নাশকতাকারীদের বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, যারা বোমা, ককটেল নিক্ষেপ করছেন, বাসে আগুন দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তারা যদি মনে করেন রক্ষা পাবেন, তাহলে ভুল করছেন। আমরা বারবার বলেছি- অপরাধীরা যেখানেই থাকুক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

সিএমএম কোর্টে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন- সোমবার (২০ নভেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের জামিন শুনানি ছিল। নাশকতাকারীরা সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিচারকদের মাঝেও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আদালতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দ্রুতই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

‘ডিবি অফিস ভাতের হোটেল’- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি সম্প্রতি চড়াও হয়েছে, এটা কেন বলা হয়- এমন প্রশ্নে হারুন অর রশিদ বলেন, আসলে বাঙালি তো একটা রসবোধপ্রবণ জাতি। এখানে বাংলা সাহিত্যের প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক যোগায়। আমি মনে করি এটা একটা রসবোধপ্রবণ বিষয় যে আমরা ভাত খাওয়াই।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। যদি কোনো মানুষ কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে তাহলে তার কাজটাও করে দেয়ার চেষ্টা করি। পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করে তাহলে খেয়ে যান। আর এখন তো আমরা বিট্রিশ পুলিশ না ঔপনিবেশিক পুলিশ না, আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ।

হারুন অর রশিদ বলেন, একসময় দেখতেন থানাতে যেতেও মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি সেখানে আপনারা শত শত লোক প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজে, কেউ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, কেউ ডাকাতির ঘটনার শিকার হচ্ছে, কেউ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে, কারও বাড়িতে চুরি হয়েছে- এমন অসংখ্য কাজ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসে। আপনারাই তো বলেন ডিবি হলো আস্থার জায়গা। ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে আমরা কাজটা করে দেই এটা আমাদের দায়িত্ব।