বরিশালটুডে ডেস্ক: নির্বাচন নিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ছয় জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ অনুরোধ জানান।
জেলাগুলো হলো, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবান।
এসব জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে জয়লাভ করে। আর বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট জামাতকে নিয়ে মাত্র ৩০টি সিট পায়। তারপর থেকে বিএনপির কাজ হলো নির্বাচনবিরোধী কার্যক্রম।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর চারিদিকে বোমা হামলা, দুর্নীতি, লুটপাট, মানি লন্ডারিং এমন কোন কাজ নেই, যা তাড়া কনি। এ কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ২০১৩-২০১৪ সালে গিয়ে আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, বোমাবাজি-ককটেল মারা শুরু করেছে। এরা নির্বাচন সবসময় বানচাল করার তালে থাকে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি, এটা হলো বাস্তব কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করি, তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পায়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। যাত্রা শুরু করতে গেলে আমাদের যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা কিন্তু আমরা নিয়েছি, আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, সেটাকে ধরে রেখে দেশকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাস্তবায়ন করে সেই পথ ধরে উন্নত দেশ করব। এ কারণে দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবার নির্বাচনে অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই তো হচ্ছে মানুষ পোড়ানো আর নির্বাচন ধ্বংস করা। আজ দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে, একমাত্র আওয়ামী লীগ পারবে ক্ষমতায় এলে সেই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে। তার জন্য নৌকা মার্কায় ভোটের জন্য আপনারা জনগণের ঘরে ঘরে যাবেন, ভোট চাইবেন।
তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম চক্রান্ত, সেই কারণে নির্বাচনের পরিবেশটা যেন সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল। কাজেই এরা নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমি বিশ্বাস করি না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে, ভোটারদের আগমনে, ভোটারদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, আমরা সেটিই চাই।
তিনি আরও বলেন, ওই সন্ত্রাসী দল ওরা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ওদের দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ আসবে না, মানুষ খুন ছাড়া, দুর্নীতি করা ছাড়া, তারা কিছুই দিতে পারবে না। সেই কারণে আমরা কিন্তু এটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নৌকা মার্কা দিয়েছি, পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায়, তারাও দাঁড়াবে। এখানে অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যার ভোট সে চাইবে, জনগণ যাকে খুশি, তাকে ভোট দেবে। এটা তো আমাদেরই স্লোগান, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি, সংগ্রাম করেছি। কাজে সেই কথাটা মনে রেখে, যার যার ভোট সে চাক, জনগণ যাকে দেবে, সেটা মেনে নেবে, সেভাবেই এ নির্বাচন পরিচালিত হবে।