স্টাফ রিপোর্টার : নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, সড়ক হচ্ছে সেতু হচ্ছে। তাই পরিবর্তনও কিছুটা ঘটবে।
যোগাযোগের উন্নতি হতে হবে, থেমে থাকা যাবে না। নৌ যোগাযোগেও অনেক আধুনিকতা আসবে, বিশ্বের সবজায়গাতে এটা আছে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে এ পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
নৌ রুটের নিরাপত্তা ও রাতে অবৈধ বাল্কহেড চলাচল রাতে বন্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিজি শিপিংকে বলা হয়েছে। তিনিও অবগত তবে তার হাতে অনেক পরিদর্শক নেই। আমরা পরিদর্শক আরও আনছি। অন্যায় এবং আইন-বহির্ভূত কাজ আমরা বন্ধ করবো।
দুবাইয়ে মেরিনদের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা দুবাই সরকারের সাথে কথা বলেছি। অ্যাম্বাসেডরও জানিয়েছেন তিনিও কাজ করছেন। ফলে অচিরেই এটির সমাধান হবে।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষে তিনি সাংবাদিকসহ উপস্থিত স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বরিশাল শহরটাকে পরিষ্কার রাখেন। এই শহরটা একসময় খুবই সুন্দর ছিল, পরিষ্কার ছিল, অনেক খাল ছিল । ছোটবেলায় ভূগোলে পরতাম প্রাচ্যের ভেনিস নগর বরিশালকে বলা হতো। আমার মনে আছে- একসময় জিলা স্কুল ও সার্কিট হাউজের সামনে দিয়ে নতুনবাজারে পাল তোলা নৌকা যেত। কিন্তু এগুলো কেন বন্ধ করা হয়েছে জানি না।
তিনি বলেন, আমি কোনদিন শুনিনি বরিশালে জলাবদ্ধতা হয়, খাল দিয়ে জোয়ারে পানি আসলে ভাটায় নেমে যেত। যারা এগুলো করেছে তারা হয়তো ভাবেনি ভবিষ্যতে বরিশাল শহর পানির নীচে চলে যাবে। বর্ষা হলেই পানির নীচে।
তিনি বলেন, বরিশালে আমার জন্মস্থান ও বাড়ির। বাড়ির সামান্য অংশ এখনও রয়েছে। এই বরিশালে আসলে আমার খুব ভালো লাগতো একসময়। কিন্তু এখন দেখি সব বন্ধ করে ড্রেন বানানো হয়েছে। ড্রেনের ভেতর ময়লা। এই শহরটাতে এত ময়লা হয়েছে, আপনারা একটি ক্যাম্পেইন করুন যাতে আমাদের উপদেষ্টারা এদিকে নজর দেয়। খালগুলোতে কচুরিপানায় ভরা দেখলাম। জেলা প্রশাসককে বলেছি, সিটি করপোরেশনে এখন যিনি আছেন তিনি তো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা । তিনি বললে দুএকদিনের মধ্যে উদ্যোগ নেয়া যাবে। আমি যদি সাতদিনের মধ্যে আবার আসি তাহলে কচুরিপানা কিছুটা কম দেখবো হয়তো।