পরিবেশ অধিদপ্তরের নিলাম, শিডিউল জমায় বিএনপি’র বাঁধা


স্টাফ রিপোর্টার: বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উন্মুক্ত নিলামে শিডিউল জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত কিছু ব্যবসায়ীর বাধায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের মূল ফটকে অবস্থান করেন, এক পর্যায়ে তাদের মারধর শুরু করে তাদের। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক হামলার ছবি ও ভিডিও তোলার চেষ্টা করলে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।

গত মঙ্গলবার সকালে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর অফিস মূল ফটকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জব্দকৃত নিষিদ্ধ পলিথিনের উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা শিডিউল কিনে জমা দিতে আসেন। তবে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত কিছু ব্যবসায়ীর বাধার কারণে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী শিডিউল জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের মূল ফটকে অবস্থান করেন। তবে তাদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও নানারকম হুমকি দিতে থাকে সেখানকার স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এরপরও তারা সেখান থেকে না গেলে এক পর্যায়ে তাদের মারধর শুরু করে তারা।

ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ বুলেটিনের ব্যুরো প্রধান খান মাইনউদ্দিন এবং নয়া দিগন্ত’র ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলার বরিশাল ব্যুরো প্রধান শাকিল খান ব্যবসায়ীদের উপর স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের হামলার ছবি ও ভিডিও তোলার চেষ্টা করলে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীররা তাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় অন্যন্যা সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেন।

এসময় অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, অধিদপ্তরের মূল ফটকে শিডিউল জমা দেওয়ার চেষ্টায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতাহাতি ও সাংবাদিকের ওপর হামলার সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুর রহমান ও অন্যন্যা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, ৩১টি শিডিউল বিক্রি হলেও মাত্র ৭টি শিডিউল জমা পড়েছে। কেন বাকিগুলো জমা পড়েনি তা তিনি জানেন না।

নিলাম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে আগামী এক মাসের মধ্যে মালামাল হস্তান্তর করা হবে। তবে এ বিষয়ে বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ মুঝাহিদুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাধা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।