স্টাফ রিপোর্টার: বিগত দশ বছরে বরিশালে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি বলে দাবি করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি বলেছেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এখানে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাব ছিল; যার ফলে বরিশাল অগ্রসর হতে পারেনি।
আগামী ১৪ নভেম্বর অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কালুশাহ্ সড়কের বাসায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নবনির্বাচিত মেয়র।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, আখতার ফারুক শাহীন, নাছিমউল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মুরাদ আহমেদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস সোহাগ, সহ-সভাপতি রাহাত খানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নবনির্বাচিত আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘যারা বর্তমানে বিসিসি পরিচালনা করছেন, তাদের যোগ্যতা নেই। এখানে কোন নতুন অফিসার আসতে চান না। কি কারণে আসতে চাননা তা সবাই জানে। সিটি করপোরেশনের সচিব, সিও, ম্যাজিস্ট্রেট নেই। এটা পুনর্গঠন করা আমাদের দায়িত্ব। বরিশালকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বরিশালের উন্নয়নের ইচ্ছা তাঁর আছে। এ কারণেই তিনি বরিশালের উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। বরিশালবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বরাদ্দ দিয়েই নগরীর জলাবদ্ধতা, সড়ক সংস্কার, বর্জ্যব্যবস্থাপনা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। বরিশালকে একটি শিল্প বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমার অঙ্গিকার।
বরিশালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, ‘বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা রয়েছে। এখানে মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। আমি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, ভাবতে পারিনা এখানে এতোটা অব্যবস্থাপনা। এখানকার অব্যবস্থাপনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে নতুন ভবনসহ সমস্যার সামাধান করা হবে।
মেয়র বলেন, ‘বরিশালের দুটি বাস টার্মিনালেও ব্যাপক অব্যবস্থাপনা রয়েছে। এখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, পার্কিং ব্যবস্থা নেই, ভবন ভেঙে পড়ছে। এই দুটি টার্মিনালের উন্নয়নে দ্রæত প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রসঙ্গ টেনে নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো প্রতি অবিচার করবো না। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় বরিশালের উন্নয়ন এবং বরিশালকে নতুন করে পুনর্গঠনে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। পাশাপাশির সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল আচারণ কামনা করেন তিনি।
পরে মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়া সাংবাদিকবৃন্দ বরিশাল সিটির উন্নয়নে মেয়রকে সহযোগিতার পাশাপাশি নগর উন্নয়নে পরামর্শ দেন। সেই সাথে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে মেয়রকে পাশে থেকে সহযোগিতা কামনা করেন তার।