বরিশালে পিস্তল নিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় জাপা ও শ্রমিক লীগ নেতার পক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলণ

বরিশালে পিস্তল নিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় জাপা ও শ্রমিক লীগ নেতার পক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলার আহবায়ক বিসিসি কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট একেএম মুরতজা আবেদীন এর উপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে একই স্থানে বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ বরিশাল মহানগরের নেতৃবৃন্দ। তারা সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্নাকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বলে জানান।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ.কে.এম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরপর ৫ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এ কে এম মুরতজা আবেদীন। তার ওপর (রবিাবার) শ্রমিকলীগ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না ও তার সহগযোগীরা পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে মুরতজা আবেদীনের লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনতাই করতে অপপ্রয়াস চালায় যা ভিডিওতে পরিস্কার। মুরতজা আবেদীনের ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা করার পরও মান্না মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রশাসন সহ বরিশাল বাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। যা মুরতজা ভাইয়ের নিজের করা ভিডিওতে দেখা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নেতা বশির আহম্মেদ ঝুনু বলেন, পুলিশ আমাদের সহযোগীতা করছে কি না সেটা বলছি না। তবে তারা গতকাল (রবিবার) মামলা নেয়নি। এমনকি মুরতজা ভাইয়ের লাইসেন্স করা পিস্তল রেখে দিয়ে তাকে অনিরাপদ ভাবে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমরা আশা করেছিলাম তার নিরাপত্তার জন্য বাড়ি পর্যন্ত পুলিশ যাবে। এখন আমরা আবারও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি, সেটি থানা পুলিশ না নিলে আদালতে করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে জাতীয় শ্রমিক লীগ বরিশাল মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক বেল্লাল হোসেন শিশির বলেন, রবিবার পোর্টরোড ভূমি অফিসের সম্মুখে ৮০/৯০ দশকের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু, এক সময়ের ক্রসফায়ারের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, বহু মামলার আসামী মুরতজা আবেদীন কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে আমাদের সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্নাকে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণ তা প্রতিহত করে এবং পরবর্তীতে মুরতজা আবেদীনকে পিস্তলসহ পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য মুরতজা আবেদীন প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যম সহ অন্যান্য মহলে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বরিশালবাসী সহ সকল রাজনৈতিক মহলে ধোয়াশা তৈরী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগ বরিশাল মহানগরের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু, অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিবসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।