বরিশালে শ্রমিক ইউনিয়নের দু-গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত ২০

বরিশালে শ্রমিক ইউনিয়নের দু-গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত ২০

বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি গঠন নিয়ে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) অনুসারী দুই গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নথুল্লাবাদ টার্মিনালে এ সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের একতরফা কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সকাল ১০টায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) অনুসারী মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়া সদ্য সাবেক সভাপতি আফতাব হোসেন ও তার অনুসারীরা। এর কিছুক্ষণ পরে সাদিক পন্থী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা মিছিল সহকারে টার্মিনালে প্রবেশ করে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচনের দাবি জানান। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় লিটন মোল্লা অনুসারী শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। এর প্রায় আধাঘণ্টা পরে পুলিশ আসলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় লিটন মোল্লা টার্মিনালে ফিরে শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এনিয়ে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ, বাস কাউন্টারে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই গ্রুপকে টার্মিনালের বাইরে বের করে দেয়।

মহানগর শ্রমিক লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি ও জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের বিতর্কিতদের দিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি গঠন করা হয়। আমরা ওই কমিটির বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানালে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সাদিক পন্থী লোকজন।

কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা বলেন, আমরা শ্রমিক লীগের কমিটির বিষয় নিয়ে এখানে আসিনি। আমরা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনসহ ৬ দফা দাবি জানাতে টার্মিনালে এসেছি। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আফতাব হোসেন ও তার লোকেরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমরা এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশ্রাফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে নথুল্লাবাদের পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাছাড়া টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। পরিমল চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও রইজ আহম্মেদ মান্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এ খবরে শুক্রবার সকালে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে প্রতিবাদ জানানোর সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।