স্টাফ রিপোর্টার ॥ পক্ষ-বিপক্ষের আদালতে দায়েরকৃত মামলা চলমান থাকলেও এক পক্ষ ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে ২ একর ২৭ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ চরাদি ইউনিয়নের বলইকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
এসআই হেলাল বলেন, আদালত জমিতে বিবাদী পক্ষকে প্রবেশে নিষেধ করেছে বিধায় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বমোট ৬ একর ৩৭ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় মোজাম্মেল হাওলাদার গং ও আসিফুর রহমান তালুকদারের মধ্যে পৃথক মামলা চলমান রয়েছে।
মোজাম্মেল বলেন, ২৪১৮ নং কবুলিয়ত মূলে তারা জমির মালিক। তাদের কাছে বৈধ সকল কাগজপত্র রয়েছে। কিন্ত ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রতিপক্ষ দূর এলাকা থেকে প্রায় ২৫/৩০ জন ভাড়াটে দিনমজুর এনে আমার নিজের চাষাবাদ করা ২ একর ২৭ শতাংশ জমির সকল ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারা পুলিশের উপস্থিতিতে এমন কার্যক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। গত বছরও ওই জমিতে আমার চাষাবাদ করা সকল ধান কেটে নিয়েছিল আসিফুর রহমান। তখন আদালত থেকে আদেশ দেয়া হয়েছিল নেয়া ধান ফেরত দেয়ার জন্য। কিন্ত আজ পর্যন্ত বুঝে ধান পাইনি। এখনও সেই ধান ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ রয়েছে। আদালতের আদেশ থাকার পরও এসআই হেলাল স্যারে তখন আমার পক্ষে অবস্থান নেয়নি। তিনি এক পক্ষ হয়ে কাজ করছেন।
প্রতিপক্ষ আসিফুর কর্ষামূলে এই জমির দাবি করছেন। এসিল্যান্ড অফিস থেকে জমি দু’ভাগে বিভক্ত করে দিলেও আমার বুঝে পাওয়া চাষাবাদের জমির ফসল নিয়ে গেছে।
আসিফুর রহমান তালুকদার বলেন, আদালতের নির্দেশেই ধান কেটে নেয়া হচ্ছে আছে এবং এখানে ২য় পক্ষ যাতে প্রবেশ না করতে পারে সে জন্য আইনের লোক পুলিশও উপস্থিত রয়েছে।
জানা গেছে, মোকলেসুর রহমানের পক্ষ হয়ে আসিফুর রহমান তালুকদার মামলার আদেশের অনুকূলে ধান কেটে নিয়েছে আসিফুর রহমান তালুকদার।
অথচ স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব হাওলাদার (৫৮), কদম হাওলাদার ( ৪৫) ও ইয়াজাদা বেগম (৫২) সহ প্রায় এক ডজন লোকে বলেছেন, জমি নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্ধে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা রয়েছে।
সত্য কথা বলতে জমিতে চাষাবাদ করেছিল মোজাম্মেল হাওলাদার গং। পুলিশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী চাষ করেছেন এমন প্রতিবেদন দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।