স্টাফ রিপোর্টার : মায়ের অবস্থা বেশি ভালো না। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেডিকেলের বেডে। অন্যদিকে বাবা হোসেন মিয়া ভিক্ষা করে দুই মাসের শিশু সন্তানকে দুধ কিনে খাওয়াচ্ছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখে সবাই এগিয়ে এসেছে হোসেনের কাছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা যে যা পাড়ছেন সহায়তা করেছেন। কিন্তু হোসেন মিয়ার দুর্ভাগ্য নিজের সন্তানও এখন অসুস্থ। দুই মাসের শিশু আলিফ গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেবামেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে হোসেনের স্ত্রী হাফিজা বেগম ওই হাসপাতালের চারতলার মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বাবা হোসেন নিজ স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসা করাতে এসে এখন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে গিয়ে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে স্ত্রীর পাশে চুপচাপ বসে থাকে সে।
মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের রোগীর স্বজন শিল্পী আক্তার বলেন, আমরা রাজশাহী থেকে এসেছি। দুই মাসের শিশু আলিফকে দেখতে অনেক সুন্দর। তাকে কোলে তুলে নিয়ে আমি ও আমার চিকিৎসাধীন মা প্রতিদিন দুধ কিনে খাওয়াচ্ছি। পাশে থাকা অন্য রোগীর স্বজনরা আলিফের ওষুধ কিনে দিচ্ছে। দোয়া করি মা-ছেলে দুজনেই যেন সুস্থ হয়ে যায়।’
আলিফের বাবা হোসেন মিয়া বলেন, আমরা পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ রাজবাড়ী গ্রামে থাকি। স্ত্রী হাফিজার পেটে অপারেশন হওয়ার পর দীর্ঘদিন মেডিকেলে রয়েছি। রিকশা চালাতেও যেতে পারছি না। যেকারণে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে না খেয়ে আছি।’
এদিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হালিমা আক্তার বলেন, ‘আলিফ আমার ওয়ার্ডে গতকাল রাতে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে সাপ্লাইকৃত যতরকম ওষুধ রয়েছে তা আলিফকে দেওয়া হচ্ছে।’