বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অর্থাৎ এই যে ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার এখন থেকে তৈরি করতে হবে আমাদের দেশের মানুষকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যথাযথ পরিকল্পনা এবং দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা AviI বলেন, মানুষের ভেতরের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তা ভাবনা, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনাগুলো বের করে এনে, কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা সব কিছুতেই সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।
বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, নিউ জেনারেশনকে সেভাবে তৈরি করতে হবে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, প্রযুক্তিতে।
প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও ছড়িয়ে দিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
ডিজিটাল ডিভাইসের ফলে আমাদের নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। তবে সেই সঙ্গে সেসব কাজের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং (ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্য প্রযুক্তি) ব্যবহারটা আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য করণীয়গুলো ঠিক করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি হিসেবে ধাপে ধাপে আমরা কী কী কাজ করবো সেগুলো এখনই ঠিক করতে হবে। জনশক্তিই হচ্ছে আমাদের একটা বড় শক্তি। জনশক্তিকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
এ সময় বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনা ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র থাকবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ-জীবন যাপন করবে| স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনী শক্তিগুলোকে বিকশিত করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কত পিছিয়ে ছিলাম, আমরা তো ৯৬ সালে সরকারে এসেছি তখন সারা বিশ্বে সবাই ইন্টারনেট, কম্পিউটার ব্যবহার করে, আমরা তখন পিছিয়ে ছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমরা আজকে এত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন অনেক উন্নত দেশও আমাদের থেকে পিছিয়ে।