আগামী বৃহস্পতিবার বরিশালে শুরু হচ্ছে এইচপিভি ক্যাম্পেইন: টিকা পাবে ২২ হাজার কিশোরী


মো: মনিরুল ইসলাম: দেশের অন্যান স্থানের ন্যায় বৃহস্পতিবার (২৪ শে অক্টোবর) বরিশাল জেলা উপজেলা সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার বিকেলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩০ টি ওয়ার্ডে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্হিভূত কিশোরীদের ৩২০ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৮ দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে।

বিসিসি সংবাদ সম্মেলনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন, এ বিষয় বলেন, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প বিভিন্ন বেসরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি এ টিকা কার্যক্রমে মোট টিকাদান কর্মী ২৪০ জন, ভ্যাকসিন পোর্টার ৬০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক ৭২০ জন পর্যায়েক্রমে ১৮ দিন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কাজ করবেন। প্রথম পর্যায়ে ১০ দিন ৩২০ টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের এবং বাকি ০৮ দিন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্হিভূত কিশোরীদের ১০৩ টি কমিনিটি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ টিক দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান,১৮ দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচী চলাকালিন বরিশাল সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিনই এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়ী-বাড়ী পরিদর্শনের মাধ্যমে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে না।

এসময় এইচপিভি টিকার গুরুত্ব জানিয়ে বিসিসি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভিড টিকার এক ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা জরুয়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এইটপিডি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে কিশোরীদের অভিভাবকবৃন্দ এইচপিভি টিকার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং কিশোরীদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজল পান্ডেসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।