বরিশালটুডে ডেস্ক: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর বাংলাদেশের বাজারে এক লাফে দাম বেড়েছে প্রায় দিগুণ। এমন অবস্থার মধ্যেই ভারত থেকে দেশের দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৪৬টি ট্রাকে ওই পেঁয়াজ আনা হয়।
জানা যায়, আগের এলসি করা ৭৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২৬টি ট্রাকে দেশে আনা হয়। দেশে আসা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৮০০ ডলারে ক্রয় করা হয়।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মাইক্রোন নুর মোহাম্মদ রুবেল জানান, ভারতের অনলাইন করা আরও বেশ কিছু ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।
প্যানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমরা হাতে পায়নি। তবে দুপুর থেকে ভারতের ওপারে মহদিপুর থেকে বেশ কয়েকটি পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতের মহদিপুর সিএন্ডএফ এবং একাধিক রপ্তানিকারকরা জানিয়েছে, আজ এবং কাল পর্যন্ত ৮০০ ডলারে এলসি করা টেন্ডারের পেঁয়াজের ট্রাক আসবে।’
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় পেঁয়াজের প্রতি কেজি ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ ১৭০-১৭৫ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকার স্থলে ১৭০-১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মধ্যবাজারের গোডাউনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ গুদামজাত করে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এসব পেঁয়াজের খোঁজ-খবর বা নজরদারির ব্যবস্থা নিলে হয়তো সেসব পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দিতে পারেন আমদানিকারকরা।