স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল জজ কোর্টের সরকারি ভিপি কৌশলী লিটন চন্দ্র শীল এর প্রত্যাহার করে নতুন কৌশলী নিয়োগের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ৫ জন লিজ গ্রহীতা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) লিজ গ্রহীতা বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফ্রন্ড ডেস্কে এ লিখিত আবেদন করেন মো. ফারুক হোসেন, বেল্লাল হাওলাদার, মো. সুমন, খালেক হাওলাদার ও মো. মামুন।
লিজ গ্রহীতাদের দাবি- ‘ সরকারি ভিপি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য লিটন চন্দ্র শীল হয়েছেন ভিপি কৌশলী।’ সে এই পদে সরকারি পরই তার সরকারি সরকার হারাচ্ছে সরকারি ভিপি সম্পত্তি। মানে আঁতাত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ রয়েছে- কৌশলী লিটন চন্দ্র শীল নানা কৌশলের মাধ্যমে সরকারি ভিপি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বেহাত হওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।তিনি সরকারি কৌশলীর দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর ভিপি সম্পত্তি বেহাত করার জন্য গোপনে বিভিন্ন বাদী পক্ষের সাথে আঁতাত করছে। আগের ভিপি কৌশলী মোতালেব হাওলাদারের মৃত্যুর পর লিটন চন্দ্রশীল নিজে নিজেকে ভিপি প্রধান অ্যাডভোকেট বলে প্রচার করেন এবং বিভিন্ন বাদী পক্ষকে ফোন দিয়ে এবং সরাসরি তাদের মামলার বিষয়ে নিয়ে অবৈধভাবে তাদের সাথে পরামর্শদান প্রদান করেন। যাতে মামলায় বাদী পক্ষ জিতে যাবার অনুকূলে নানাভাবে সুবিধা নেয়। জমির ভাগাভাগি বা মোটা অঙ্কের টাকা বা জমির বিনিময়ে নানান সুযোগ সুবিধার আলোচনা হয়।
যেমন- ১) নম্বরে ভিপি মামলা নম্বর ৯৫/২৪ হাকিম মোল্লা ১৫০৪/১২ সিটি কর্পোরেশনের বাদী সিদ্দিক মিয়া মামলা নম্বর ২) /৩১৪৪/১২ বাদী আলেক সরদার সিটি ৩) ৩১/১৩ বাদী নজরুল ইসলাম গৌরনদী মামলা নম্বর ৪) ৩০৫/১২ বাদি নির্মল বৈদ্য মামলা নাম্বার ৫) ১৬৪/১৪ বাদী রুবেল তালুকদার উজিরপুর মামলা নাম্বার ৪৬৩/১৪ শহিদুল ইসলাম বরিশাল সিটির মামলা নাম্বার ২৮৪/১২ বাদি জাহাঙ্গীর হোসেন গং এছাড়াও একাধিক বাদীর সাথে রয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী সরকারের সক্রিয় সদস্য থাকা এই অ্যাডভোকেট সে বিভিন্ন কোর্টের পেশকার এদের সাথে ও এ সব মামলা নিয়ে গোপনে আলোচনা করেন। বাদী হাকিম মোল্লার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় কৌশলী লিটন চন্দ্রশীল নিয়েছেন সাক্ষী তা নিজেই বলে বেরাচ্ছেন বাদি হাকিম মোল্লা যার মামলা নং ৯৫/২৪। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা এবং রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এই কৌশলীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কৌশলী লিটন চন্দ্র শীল পূর্বের ন্যায় বলেন, দেশের সকল নাগরিকদের অভিযোগ করার অধিকার আছে। এটা নাগরিক অধিকার। যে বা যারা সমস্যা মনে করেছেন তারা আবেদন করেছেন।