স্টাফ রির্পোটার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর, কক্সবাজারে ৬ এবং মোংলা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চল তথা গোটা বরিশাল বিভাগের নদ-নদীতে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিআইডব্লিউটিএ-এর উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বরিশাল বিভাগ বিশেষ করে বরিশাল ও ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবটা বেশি।
তাই বরিশাল-ভোলাসহ বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, পায়রা সমুদ্র বন্ধরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও আমাদের নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্দেশনার কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। রাতে বরিশাল-থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল করবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে মঙ্গলবার ভোর থেকে বরিশাল নগরে বৃষ্টিপাত হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেও আবহাওয়া গুমোট অবস্থায় রয়েছে।