বরিশালে সড়কের দায়িত্বে ফিরল ট্রফিক পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-সহিংসতার জেরে সারা দেশের ন্যায় বরিশাল সড়কে ছিল না ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ শূন্য রাস্তায় এসময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তারা। তবে এবার ট্রাফিক পুলিশের সাথে এখনো সমন্বয় করে সড়কে আছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে ফেরায় স্বস্তি মিলেছে বলছেন সাধারণ জনগন।

আজ সোমবার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে কাজে ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সদর রোড, হাসপাতাল রোড, বান্দ রোড, রূপাতলী, নথুল্লাবাদ, চৌমাথা, বটতলা, আমতলার মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কাউট, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এক সঙ্গে কাজ করছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা সড়কের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের কাছে।

ট্রফিক পুলিশের এটিএসআই আল মাসুদ জানান, সকাল থেকেই আমরা দায়িত্ব পালন করছি শুরু করছি। যদিও আমাদের সদস্যরা এখনো আতংকে আছে তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে এখনো কাজ করায় কিছুটা স্বস্তিতে আমরা কাজ করতেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ট্রফিক পুলিশরাও তো আমাদের ভাই,তারা যে কতটা কষ্ট করে তা আমরা বুঝতে পেরেছি এ কদিন সড়কে থেকে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা আমাদের সেবা দিয়ে থাকে তারা অনেক কষ্ট করে, যাতে করে আমরা সড়কে ভালোভাবে চলাচল করতে পারি। আমরা তাদের সাথে আজও সহযোগিতা করছি সড়কে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, সদস্যদের সঙ্গে সকালে কথা হয়েছে, তাদের মনোবল দৃঢ় আছে। সকাল থেকে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা তাদের দায়িত্বপালন শুরু করেছেন। দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে তারা নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।

প্রসঙ্গত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর কিছু দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।