বরিশাল শহর রক্ষা বাঁধের ৭০০ মিটার এলাকার কাজ দ্রুত সম্পন্নের জন্য তাগিদ দিয়েছে পাউবো


স্টাফ রিপোর্টার:বরিশাল শহর রক্ষা বাঁধের কাজ জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতনরা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল রবিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, ডিসি ঘাট থেকে চাঁদমারি এলাকার উল্লিখিত প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার অংশ নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ আগামী শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ডিসি ঘাট সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শনিবার সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তাদেরকে লিখিত কোনো চিঠি দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন জানান, আপাতত মৌখিক ভাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে যদি দ্রুত শুরু না হয় তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপরোক্ত প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্থানের মধ্যে যেসব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ সেসব স্থানে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তবে ডিসি ঘাট সংলগ্ন চাঁদমারি এলাকায় ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক কীর্তনখোলা নদীর ডানতীরে ২.৬৫০ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়িত প্রতিরক্ষা কাজের কোন অংশে যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা রক্ষনাবেক্ষন করা বাস্তবায়নকারী সংস্থার এখতিয়ারভুক্ত। বর্তমানে ডিসি ঘাট থেকে চাঁদমারি এলাকার উল্লিখিত প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার অংশ নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ আগামী শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ডিসি ঘাট সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, উপরোক্ত প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্থানের মধ্যে যেসব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ সেসব স্থানে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় চরকাউয়া, চাদঁমারী, জাগুয়া, লামচরি এবং চরমোনাই এলাকাসমূহ কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে “বরিশাল জেলার সদর উপজেলায় চরকাউয়া, চাদঁমারী, জাগুয়া, লামচরি এবং চরমোনাই এলাকা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্প (১ম পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি গত ১৮ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে গত ১৫ জুন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকল্পের জিও এবং গত ২০ জুন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন জারী করা হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অর্পিত ক্রয়কার্য হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রকল্প ব্যয় ৫১২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা এবং এর বাস্তবায়নকাল জুলাই ‘২০২৩ হতে জুন’ ২০২৬ পর্যন্ত। প্রকল্পটির আওতায় সর্বমোট ৮ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ ৬ জুলাই শনিবার দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় ‘বরিশাল শহর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে ধস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে ঐ দিনই সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেয় পাউবো’র বরিশালের কর্মকর্তারা। গতকাল রবিবার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ইত্তেফাকের এ প্রতিবেদককে জানান, ডিসি ঘাট এলাকার বাঁধ পূর্বের প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন করেছিলেন। সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ড করেনি। বর্তমানে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে ঐ প্রকল্পের মধ্যে ডিসিঘাটের ঐ এলাকার বাঁধও নির্মাণ করা হবে।