বাউফলে পুকুর পাড় ও বনজ গাছ কাটাসহ -পুলিশের সামনেই মারধরের ঘটনা


মাসুম বিল্লাহ পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে হান্নান গংদের বসতবাড়ির আঙিনার পুকুর পাড়ের বিপুল পরিমাণ বনজ গাছ ও পুকুর পাড় কাটাসহ পুলিশ প্রশাসনের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (০৫ই জুলাই) সকাল ৯টার পরে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কর্পূরকাঠি গ্রামের হান্নান বয়াতির বাড়িতে।

সরেজমিনে ভূক্তভোগী পরিবার জানান, আমাদের এই বাড়ির জমিটা আজ থেকে ২০/২৫ বছর পূর্বে কবলা করে ভোগদখল সহ আজ থেকে ৬/৭ বছর পূর্বে ভিটি করে তাতে বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু নেছার হাওলাদার গং কয়েকবছর আমাদের সাথে এই জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মনির মোল্লা মীমাংসা করে দেন। কিন্তু আজকে সকালে হঠাৎ করে নেছার হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০ জনের মতো ভাড়াটিয়া লোকদের দিয়ে রাম দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার আঙ্গিনার পুকুর পাড়ের সব বনজ চারা গাছ কেটে ধ্বংস করে
ভুক্তভোগী পরিবার আরও জানান, উপায়ান্তর না পেয়ে পুলিশ কে খবর দেই। পুলিশ আসলে তাদের সামনে আমাদের পুরুষ মহিলাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। আমরা ওই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেছার হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে জায়গা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তা আমাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি। বিগত দিনে আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে টাকার বিনিময়ে আমার সম্পত্তি তাদেরকে দখল করে দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদেরকে নিয়ে সালিশি বসানোর কথা থাকলেও তারা সালিসি প্রত্যাহার করেন। যাহার রোয়েদাদ আমাদের কাছে রয়েছে। 
পুলিশের সামনে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে নেছার হাওলাদার বলেন, তারা উত্তেজিত, ওরকম মারধর কিছুই না তবে কেউ ধাক্কা দিতে পারে। 
নেছার হাওলাদারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা বশার সংঘবদ্ধ হয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা দুই পক্ষ কে কাগজ নিয়ে বসার কথা বললে হান্নান গং বসতে রাজি না। 
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই ঘটনার বিষয়ে বলেন, ঘটনা যা-ই হোক তারা উভয়পক্ষ বসলে মানলে মীমাংসা করে দেওয়া যাবে। 

এবিষয়ে ঘটনাস্থলে আসা বাউফল থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাদের জানান যে তাদের গাছপালা ও পুকুরের পাড় কেটে ধ্বংস করছে নেছারের নেতৃত্বে লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পূর্বক শালিসি মানানোর ব্যবস্থা করলে কেউ রাজি না। এমন সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।