বিএনপি নেত্রী শিরিনের স্নেহভাজন কিরণ হল ডাকাত


স্টাফ রিপোর্টার॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন এর স্নেহের আস্থাভাজন মো: রেজাউল হক (কিরণ) (৪০) সহ ৪ জন ডাকাতি ও অপহরণের অভিযোগে আটক হবার পরই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে র‍্যাব-৮ এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পরই বরিশাল বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে এ্যাড. বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। আটককৃত কিরণ হলেন বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নেত্রী শিরিনের রাজনৈতিক অঙ্গনে সার্বক্ষণিক চলার সঙ্গী ।

এ প্রসঙ্গে এ্যাড. বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন মুঠোফোনে জানিয়েছেন, বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন। র‍্যাব-৮ যুবদল নেতা কিরণসহ ৪ জনকে আটক করার খবর শুনেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি জানেন না। আটককৃত কিরণের পরিবারের কারো মোবাইল নম্বর রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইলে নেই বলে জানান তিনি।

বরিশাল বিএনপির কয়েকজন নেতা কর্মী বলেছেন, বরিশাল বিএনপি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে শিরিন। বরিশাল বিএনপি’র উচ্চপদস্থ নেত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গনে সার্বক্ষণিক চলার সঙ্গী ডাকাতি ও অপহরণের অভিযোগে আটকের ঘটনায় দলকে আজ আরো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে বিলকিস জাহান শিরিন। অথচ তিনিই বরিশাল বিএনপিকে বাঁচানোর আকুল আবেদন জানিয়ে ছিল হাইকমান্ডের কাছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন গাজীপুর থেকে এক ব্যক্তিকে ময়মনসিংহে তার বাড়িতে পৌঁছে দেবার কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে সর্বস্ব কেড়ে নেয় ডাকাত চক্রটি। আবার তারা গত ২ জুলাই দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে দুইজন বিদেশ ফেরত যাত্রীকে টার্গেট করে মাইক্রোবাসে তুলে বৈদেশিক মুদ্রাসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে এবং তাদেরকে হাত ও পা বেঁধে গোপালগঞ্জ এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়।

পরে চক্রের সদস্যরা লুট করা মালামাল মাদারীপুরের রাজৈর এলাকায় নিজেদের মধ্যে ভাগ বন্টনের সময় র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কিরণকে সহ ডাকাত দলের মূলহোতা মেহেদী হাসান, সাইফুল ইসলাম ও ওমর ফারুককে আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে অস্ত্রসহ একটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।