স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনভর গরমের পর সন্ধ্যায় কিছুটা হলেও বৃষ্টির দেখা পেল নগরবাসী। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও দিনভর ছিল সেই দাবদাহ। এর মধ্যে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজিতে নগরবাসীকে আরো ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। দিনের বেলা বাধ্য হয়ে মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছে। কাজ শেষে রাতে বাসা-বাড়িতে ঠিকমতো ঘুমানোর অবস্থাও নেই। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মুখ থুবড়ে পড়েছে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্য। নগরীর সিএ-বি রোড এলাকার বাসিন্দা হাসান সরদার জানান, বিদ্যুৎ যেন লুকোচুরি খেলছে। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই চলছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। দিনে যেমন লোডশেডিং চলছে রাতেও চলছে একই গতিতে।
নগরীর সদর রোডের ব্যবসায়ী সুমন জানান, সকাল থেকে সারাদিন কতবার লোডশেডিং হচ্ছে তার কোনো হিসেব নেই। দুপুরে যখন তীব্র গরমে সবাই হাঁসফাঁস করছে তখনো বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। আরেক ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন জানান, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ দুই মিনিটের মাথায় আসা যাওয়া করেছে। এতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি।
এ বিষয়ে বরিশাল ওজোপাডিকো-২ নিবার্হী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম লোডশেডিং হয়নি দাবি করে বলেন, ফিডারে ত্রুটি থাকার কারণে দিনের বেলায় কিছু সময় বিদ্যুত ছিলো না। আর রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ায় এমনিতেই বিদ্যুত লাইন বন্ধ রাখতে হয়। এ কারণে বিদ্যুতে সমস্যা হয়ে থাকে। তবে তা স্থায়ী ছিলো না।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১৮-২০ কিলোমিটার ছিল বাতাসের গতি।