স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সিটি কপোরেশনের (বিসিসি) পঞ্চম পরিষদের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। নগর ভবনে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তাঁকে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় নগর ভবন চত্ত্বরে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নব নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি, হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, বানারীপাড়া- উজিরপুর আসেনর সংসদ সদস্য শাহে আলম এমপি। এ ছাড়া অভিষেক অনুষ্ঠানে বরিশালের রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, বিভাগীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সামাজিক সাংস্কৃতিক, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বরিশাল বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচনে ইশতেহারে আমি যে ৩৫টি কার্যক্রম বাস্তবাযনের ঘোষণা দিয়েছি, তা অচিরে বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী বরিশালের উন্নয়নে যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা সঠিকভাবে বরিশালের উন্নয়নে ব্যায় হবে। এ জন্য সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বরিশালকে একটি স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেন, ‘আমরা চাই বরিশালের উন্নয়ন হোক। বিগত বছরগুলোতে বরিশাল ছিল অবহেলিত। তাই বরিশাল সিটি কপোরেশনের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৭৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চান বরিশালের উন্নয়ন হোক। অন্যসব সিটি কপোরেশনের চেয়ে বরিশাল এগিয়ে যাবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এ সময় তিনি নতুন মেয়রের সঙ্গে থেকে বরিশালের উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তবে অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কিংবা তার পরিবার ও অনুসারীদের কাউকে দেখা যায়নি।
উল্লেখ, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৫৩ হাজার ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমকে পরাজিত করেন।