সৌরজগতের মধ্যেই পৃথিবীর মতো আরো একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, গ্রহটি নেপচুনের বাইরে কুইপার বেল্ট অঞ্চলে থাকতে পারে। এটা পৃথিবীর চেয়ে খুব বেশি বড়ও নয়। এর আগেও বিজ্ঞানীরা কিছু গ্রহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও সেগুলো পৃথিবীর সঙ্গে ততটা মিল ছিল না।
কুইপার বেল্টে সন্ধান পাওয়া বস্তুকে ‘প্লানেট নাইন’ নামে ডাকা হচ্ছে। এর বিচিত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন অন্যান্য বস্তুর ওপর এ মহাকর্ষীয় প্রভাব রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি গ্রহ। জাপানের ওসাকার কিন্দাই ইউনিভার্সিটির প্যাট্রিক সোফিয়া লিকাওকা এবং টোকিওতে জাপানের জাতীয় জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের গবেষক তাকাশি ইতো দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণার ফলাফল দি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আমরা পৃথিবীর মতো গ্রহের অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করছি। এটি আশার কথা যে (মূল কক্ষপথে না থেকেও) একটি স্বীকৃত গ্রহের কুইপার বেল্ট অঞ্চলে কোনো গ্রহ বেঁচে থাকতে পারে। এটি সূর্যের প্রায় ২৫০ থেকে ৫০০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটের মধ্যে অবস্থান করছে। গ্রহটি জীবন ধারণের জন্য বেশ ঠান্ডা হতে পারে।
কুইপার বেল্ট হলো সৌরজগতের মূল গ্রহসমূহের বাইরের রিং আকৃতির অঞ্চল। ধারণা করা হয়, সৌরজগতের কিছু উপগ্রহ যেমন—নেপচুনের উপগ্রহ ট্রাইটন, শনির উপগ্রহ ফিবি এই অঞ্চল থেকেই উত্পত্তি লাভ করেছে। তাই ধারণাকৃত নেপচুনের কুইপার বেল্ট অঞ্চলে অবস্থানরত পৃথিবীর মতো এই নতুন গ্রহটিকে ‘কুইপার বেল্ট গ্রহ’ বলা হচ্ছে।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য নতুন গ্রহটিকে ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে অনুমান করেছিলেন। আগে প্লুটোকে সৌরজগতের নবম গ্রহ ধরা হতো। তবে ২০০৬ সালে প্লুটোর গ্রহের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। তখন বলা হয়, প্লুটো গ্রহ নয়, বরং বামন গ্রহ। ২০১৬ সালে ‘প্রক্সিমা সেনচরি’ নামের একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০২২ সালে টিওআই-১৪৫২বি বা ‘সুপার আর্থ’ নামের একটি গ্রহের কথা জানা গিয়েছিল। —ফিজিক্স ডট অর্গ ও এনডিটিভি