স্টাফ রিপোর্টার: হিজলা উপজেলায় সরকারি চালভর্তি একটি কার্গোয় ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে সন্দেহ আছে। তাই পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে বলে দাবি করেছেন কার্গোর সুকানি কামাল হোসেন। কিন্তু এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবাইর আহমেদ।
সুকানি কামালের অভিযোগ, গত রোববার খুলনার মানিকতলা থেকে এমভি তুষার খান নামে কার্গোয় ৬০০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে হিজলার গোডাউনে খালাস করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভোরে মেঘনা নদীর তীরে হিজলা উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের বোম্বাই শহর নামক এলাকায় নোঙর করেন।
ফজরের আযানের সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ১০/১৫ জনের একটি দল কার্গোয় চড়ে। তারা অস্ত্রের মুখে কার্গোয় থাকা ৯ জনকে জিম্মি করে। পরে নগদ ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা, চারটি মোবাইল সেট, জামা-কাপড় ও জুতা নিয়ে যায়।
এ খবর পুলিশকে জানানো হলে সদস্যরা এলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চলমান।
ওসি জুবাইর বলেন, এটা ডাকাতি নয়। আসার সময় হয়তো কোনো জেলেদের জাল কার্গোর ইঞ্জিনের পাখায় বেঁধে কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা এসে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এ নিয়ে হয়তো তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তাই বিষয়টি ডাকাতি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, শীত মৌসুমে মেঘনা নদীতে প্রায়ই নৌ-যান ও জেলেদের মধ্যে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ডাকাতির উদ্দেশ্য থাকলে সরকারি মালামালের ক্ষতি হতো। সেখানে ক্ষতি করা হয়নি।