বরিশালে বিসিসি প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি


স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)’র প্রশাসক মো. শওকত আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারকে অপসারনসহ অন্যান্য অন্যায় ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে নগর ভবন চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর আশ^াসে ৩ ঘন্টা পরে অবস্থা কর্মসূচি তুলে নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, নগর ভবনে নাগরিক সুবিধা নেই আদৌ। আগের ন্যায় অনিয়ম ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণসহ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছিল। সেইসাথে এসব কিছুর প্রতিকার চেয়ে সাধারণ নাগরিক থেকে ব্যবসায়ী এবং আমাদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের গুন্ডা বলে আখ্যায়িত করেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মাসুমা আক্তার। এসময় তারা আরো বলেন, এদিকে সার্বিক বিষয়ে নগর প্রশাসক মো. শওকত আলীও কোন সমাধান করতে পারেনি এমনকি কাউকে জবাবদিহিতার আওতায়ও আনেত পারেনি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল কিন্তু তাও ভ্রুক্ষেপ করেননি তারা। ফলে এটা নিশ্চিত যে প্রশাসক মো. শওকত আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। তাই তাদের অপসারনসহ অন্যান্য অন্যায় ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ চাই আমরা। আর তাঁদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নাজমুুল হাসান, হাসিবুর রহমান, সরকারি বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম শোভনসহ প্রমূখ।
এদিকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ জনতাও অংশ নেয়। পরে সনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেনাবহিনীর আশ^াসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সাবেক মেয়র ও শেখ হাসিনার ফুুপাতো ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের আমলে নগর ভবনের সচিবের দায়িত্ব নেন। যদিও তার পদায়ন এর আগের পরিষদের শেষ সময়ে হয়। তবে খোকন সেরনিয়াবাতের আস্থাভাজন হতেই তিনি সাদিকের আমলে দায়িত্ব নেননি বলে নগর ভবন জুড়ে কথা রটেছে। যদিও খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র হওয়ার পর থেকে এ অবধি নগর ভবনে বেশ দাপুটে প্রভাব বজায় রেখেছেন মাসুমা আক্তার।