হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গত ২০ দিনে ৭ হাজার ২৮ জন গাজাবাসী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত সাড়ে ১৮ হাজার। গাজার বাইরে পশ্চিম তীরে আরও অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছে জানিয়ে মৃতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে হামাস প্রশাসন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ইসরায়েলি হামলায় আরও প্রায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৮ জনে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে আরও ১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। এ সময় ইসরায়েলি অভিযানে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের প্রকাশিত মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২১২ পৃষ্ঠার নথিতে সংযুক্ত করা হয়েছে নিহতদের নাম ও বয়স। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ৬ হাজার ৭৪৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু এখনও শনাক্ত করা যায়নি ২৮১ জনের মরদেহ। যাদের বেশিরভাগই শিশু। দাফনের আগে তাদের কাপড় আর ছবি সংরক্ষণ করা হয়েছে মর্গে। তালিকা অনুসারে নিহতদের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৫ জনই শিশু।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে হামাসের কাছে বন্দী আছে।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।