ডাকঘর ক্যাশিয়ার’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ!

বরিশালটুডে ডেস্ক: বরিশাল প্রধান ডাকঘর ক্যাশিয়ার মোঃ নুরুল কবির’র বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ তহমিনা রেনু।

১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) বীর মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রেনুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান জিলন। তিনি বলেন,

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল প্রধান ডাকঘর অফিসে একটি সেভিংস একাউন্ট খুলে ১ লক্ষ টাকা জমা করে তহমিনা রেনু। গত ২৪/০৯/২০২৩ ইং তারিখে তিনি তার লভ্যাংশসহ জমাকৃত ওই টাকা উত্তোলন করতে অফিসে আসেন।

ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের হাতে বইটি দিলে তিনি রেনুর ৩টি স্বাক্ষর নেয়। প্রথম স্বাক্ষর তহমিনা রেনু, পরবর্তী ২টি স্বাক্ষরে শুধু রেনু লেখে নেয়। ক্যাশিয়ার রেনুকে বসতে বলেন। তখন রেনুর ছোট বোনের স্বামী মো: মজিবুর ওই ক্যাশিয়ারকে প্রশ্ন করেন, সবাইকে টোকেন দিলেন। কিন্তু রেনুর টোকেন দিলেন না।

ক্যাশিয়ার তখন বই দেখে ৪৩ নম্বর টোকেন প্রদান করেন। পরে যখন ২৮নং টোকেনের সিরিয়াল আসে তখন রেনুকে ডেকে ক্যশিয়ার আবারো স্বাক্ষর নেয়। টাকা না দিয়ে আবারও বসতে বলেন।

একইসাথে ক্যাশিয়ার বলেন, আপনার ৪৩ নং টোকেনের সিরিয়াল আসলে তখন ডেকে টাকা দেয়া হবে। তারপর থেকে রেনু তার সিরিয়াল নম্বর আসার অপেক্ষায় থাকে। ৪২ টোকেন নম্বরের পরই ৪৪ নম্বর টোকেন ডাকিলে রেনু ক্যাশিয়ারকে বলেন, আমার টোকেন নং- ৪৩। আমার নম্বর তো ডাকলেন না।

তখন ক্যাশিয়ার রেনুকে জানান, আপনার বই স্বাক্ষর হয়ে এখনো আসেনি। কেন বই আসেনি জানতে চাইলে খাতা চেক করে বলেন, আপনার টাকা দেয়া হয়েছে। রেনু জানায়, আমার টোকেন আমার হাতে এবং আমি যেখানে নিজে স্ব-শরীরে উপস্থিত, সেখানে আমার টাকা কে নিয়েছে? ক্যাশিয়ারের আপত্তিকর ভাষায় রেনু ও তার ছোট বোনসহ বোনের স্বামী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এবং ঘটনার দিনই অর্থাৎ গত ২৪/০৯/২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় পুরো ঘটনা উল্লেখ করে রেনু বেগম একটি অভিযোগ দায়ের করে।

তদন্তের দায়িত্বের রয়েছে এসআই জুবায়ের। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তাতে তার টাকা অন্যকে দেয়ার সত্যতা মিলেছে। যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।

ক্যাশিয়ার মোঃ নুরুল কবির’র মুঠোফোনে একাধিকবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।