ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা, সামান্য বৃষ্টিতে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা

২৬’শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষা/ ছবি: সংগ্রহিত

বরিশালটুডে ডেস্ক: প্রচ- গরমে বৃষ্টি স্বস্তির হলেও বরিশাল নগরবাসীর জন্য এটি আসে অভিশাপ হয়ে। কারণ, সামন্য বৃষ্টিতেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিপণী বিতানের সামনে থইথই করে পানি। আর জমে থাকা সেই পানি নামতে সময় লাগে একদিন কিংবা তার থেকে বেশি। তাই গরমের বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তির বদলে ভোগান্তিই হয়ে ওঠে মুখ্য।

ভুক্তভোগীদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার কাজ হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই অধিকাংশ এলাকার ড্রেন থেকে উপচে ওঠা নোংরা পানিতে সড়ক ডুবে যায়। পানি নামতে অনেক সময় লাগে। এ সময় নোংরা পানি ঠেলেই চলাচল করেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন স্থানে পানিনিষ্কাশনের খাল, ড্রেন ভরাট ও সংকীর্ণ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রয় মতবাদকে জানান, ‘ মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে মোট ২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন এমন আবাহাওয়া চলমান থকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, মাত্র চার ঘন্টা সময়ে থেমে থেমে আসা এই বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ সড়ক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর কালুশাহ সড়ক, নগরীর করিম কুটির, অক্সফোর্ড মিশন রোড, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, বটতলা বাজার, সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, হাসপাতাল রোড, বগুড়া রোড, সাগরদী ধান গবেষণা সড়ক, পূর্ব রূপাতলী, জাগুয়া, ভাটিখানা, নিউ ভাটিখানা, আমানতগঞ্জ, রসুলপুর, পলাশপুর, রুপাতালী হাউজিং ও রুপাতলীর বাস টার্মিনালসহ আশপাশের এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। এর মধ্যে সিংহভাগ সড়কেই বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। ফলে পানির মধ্যেই চলাচল করতে হয় ওইসব এলাকার মানুষকে। এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে যায়। রাস্তার এসব গর্তে যানবাহন পড়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদ মতবাদকে বলেন, ‘ নগরীতে অধিকাংশ খাল দখল হয়ে গেছে এ গুলো দখল মুক্ত রাখার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আমরা নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২৬ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দিয়েছি, এটি পাশ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।’