বরিশালটুডে ডেস্ক : কোনো খণ্ডিত পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনা কারা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় যখন সৃষ্টি হয় তখন তার জ্ঞানের কোনো পরিসীমা থাকবে না।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের যে প্রান্তেই সৃষ্টি হোক না কেন তার কাজ হচ্ছে জ্ঞানের প্রজ্বলন করা, জ্ঞান সৃষ্টি করা। মানবতার উন্নয়ন ঘটিয়ে অনেক উচ্চ স্তরের সমাজ গড়ে তোলা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য এবং ঢাবির ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর মান রক্ষার দায়িত্ব এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একদিন নিজেকে নিয়ে যাবে ঈর্ষান্বিত পর্যায়ে, যাতে আমরা গর্ব করে বিশ্ববাসীকে বলতে পারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তানভীর কায়ছার, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তারেক মাহমুদ আবীর, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ, গ্রেড ১১-১৬ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নূরউদ্দিন এবং গ্রেড ১৭-২০ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আরিফ সিকদার।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, প্রভোস্ট, পরিচালক, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থীরা, দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অন্যান্য অতিথিরা এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও উপাচার্য বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং উপাচার্যসহ অন্যরা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় এক আনন্দ র্যালি বের করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।
এছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন-১ এর নিচ তলায় অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। বিকেল ৪টায় থাকছে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।