স্টাফ রিপোর্টার : ‘ষড়যন্ত্রের কথা আমরা অনেক শুনি, কিন্তু ষড়যন্ত্রের কথা বলে সবকিছু জায়েজ করে দিয়েন না। এখানে প্রশাসন আছে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আছে, যার লোকবল আছে, এর মধ্যে অনেক দোসররা যারা বড় বড় পদে ছিল তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। আর কেন আছে তার জবাবও আপনাদের দিতে হবে বলে জানালেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।’
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের কীর্তনখোলা মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার’ আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, নারীর ওপর যখন নিপীড়ন হয়, কোন মাজারে হামলা হয় কিংবা কোন ব্যক্তির উপর মব আক্রমণ হয় তখন মানুষ উত্তেজিত তো হবেই। এটা কি অভ্যুত্থানের চেতনা, অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ? অভ্যুত্থান বলেছে প্রত্যেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে, প্রত্যেক ধর্ম গোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, মাজারে গিয়ে মব আক্রমণ হচ্ছে, আর সেই আগুনে পোড়া ছবি দেখিয়ে ভারতের মিডিয়ার একাংশ সারা বিশ্বময় বাংলাদেশকে হেয় করছে। তারা বলছে বাংলাদেশে এখন আর কোন ভিন্নমতের জায়গা নেই, এটা একটি জঙ্গির দেশ হয়ে যাচ্ছে। এই ভারতীয় প্রচারণার শক্তি যোগাচ্ছে মব আক্রমণ কিংবা কোন নারীকে হেনস্তা করার ঘটনা। তাহলে মব আক্রমণ, ধর্ষণে ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেইগুলো খুঁজুন। নানাভাবে মানুষের নিরাপত্তা হুমকি যে তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে ষড়যন্ত্র আছে কিনা, সেগুলো খুঁজুন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার যতদিন দায়িত্বে আছে দেশটা ভালোভাবে চালানো তাদেরই দায়িত্ব। প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে পড়ায়, পুলিশ ভেঙে পড়েছে, প্রশাসন ঠিকভাবে কাজ করছে না বিধায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা খুব খারাপ ছিল, বারবার আমরা আওয়াজ তুলেছি, সরকার কিছুটা পদক্ষেপ নিয়েছে ফলে আমরা দেখছি রমজান মাসে অনেকগুলো পণ্য সহনশীল জায়গাতে আছে। তাহলে সরকার যদি উদ্যোগ নেয় কিছু কাজ হয়।’
গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড প্রমুখ।