ময়মনসিংহে জামায়াতের ১৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে জামায়াতের ১৯ সদস্য গ্রেপ্তার

অনুমতি ছাড়া ময়মনসিংহ নগরীতে মিছিল ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতের ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে রিমান্ড শুনানি না হয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠান আদালত।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জামায়াতে ইসলামী মুক্তাগাছা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ মো. মুজাহিদ (৪৫), অর্থবিষয়ক সম্পাদক ডা. আজহারুল ইসলাম শাহীন (৪৬), প্রচার সম্পাদক হাবিবুল হক শরীফ (৪০), সদস্য মো. মামুনুর রশিদ (৪৫), কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম (৫৫), সদস্য মাওলানা আবু নাছের সিদ্দিকী (৫২) ও মো. আনোয়ার হোসেন (৫০), গৌরীপুর থানা শাখার সদস্য হাফেজ আসাদুল্লাহ মো. কাজিম উদ্দিন (৫৫), ফুলপুর থানা শাখার সূরা সদস্য মো. আব্দুল কাদের (৫০), ঈশ্বরগঞ্জ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন (৫১), সদস্য মো. ফজলুল হক ওরফে মাহবুব (৩৬), সরিষা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক খান (৬৫), তারাকান্দা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম (৪০), সদস্য মাওলানা মতিউর রহমান (৫৩), ফুলবাড়িয়া থানা শাখার সদস্য মো. আ. মতিন (৩৫), সদস্য ইয়াকুব আলী হুজুর (৪৩), পাগলা থানা শাখার রুকন মাহমুদুল হাসান (৩০), ভালুকা থানা শাখার সদস্য মাওলানা মোবারক হোসাইন (১৯) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৪০)।

পুলিশ জানায়, অনুমতি না পেয়েও গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যার পর নগরীর নতুন বাজার এলাকায় মিছিল করে মহানগর জামায়াত। ওই সময় সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা,

যানবাহন ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছিল তারা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ২৯ জুলাই বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। এতে জামায়াতের সাত নেতার নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নাশকতার মামলায় জামায়াতের ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলবে।

এর আগে, গত ২৫ জুলাই ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ২৮ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশের নজর এড়িয়ে ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় নগরীর নতুন বাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা।