যাত্রীশূন্য গাবতলী, নিরাপত্তা দিতে পাহারায় রয়েছে আওয়ামী লীগ!


অনলাইন ডেস্ক:বিএনপি-জামায়াতের তিনদিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গাবতলী এলাকার পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কোনো পিকেটিং চোখে পড়েনি। বরং পাহারা বসিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

গাবতলী এলাকায় সার্বিক শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে ফজর থেকে রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও মোটর শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।

সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী কম দেখা গেছে। এ কারণে ছাড়ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানও নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করছেন গাবতলী এলাকায়।

গাবতলী এলাকায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসন খান নিখিল মিছিল নিয়ে শো ডাউন দিচ্ছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিও নেতাকর্মীদের চাঙা করতে গাবতলী এলাকায় এসেছেন। বলা যায় পুরো গাবতলী এলাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে।


এদিকে, যাত্রীর অপেক্ষায় শত শত বাস রাখা রয়েছে। ছাড়ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস।

ঢাকা-ঝিনাইদহ-মেহেরপুরগামী এসডি পরিবহনের কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি সকাল থেকে। অথচ চারটি ট্রিপ ছেড়ে যাওয়ার কথা।

এসডি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল করিম বলেন, বাস আছে, যাত্রী নেই। ফলে বাস ছাড়তে পারি না। যাত্রী না থাকলে কীভাবে বাস ছাড়বো। সকাল থেকে চারটি বাস ছাড়ার কথা একটাও ছাড়তে পারি নাই।

কাউন্টারের পাশেই বাস ডিপো। শত শত বাস অলস পড়ে আছে। সব বাসে কর্মরত মোটর শ্রমিকদের মধ্যে শঙ্কার ছাপ।

এক মোটর শ্রমিক বলেন, ভাই বাসের চাকা ঘুরলে বেতন না ঘুরলে নাই। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে বসে আছি এক টাকা আয় নাই অথচ দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ।

কাউন্টারের কর্মীরা জানান, সকাল থেকে কাউন্টার বন্ধ রাখতে হয়েছিল। অবরোধ কর্মসূচির কারণে যাত্রী আসেনি। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঢাকার ভেতরেও যানবাহন কম।

ঢাকা-যশোরগামী এক পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বলেন, মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হয় না। ঢাকার অভ্যন্তরেও যানবাহন কম। যে কারণে আমরা যাত্রী পাচ্ছি না। যাত্রী না পাওয়ার কারণে গাড়ি ছাড়তে পারছি না। এছাড়া ভয়ও কাজ করছে। নানা জায়গায় বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। একটা বাস পুড়ে গেলে ক্ষতি কে পূরণ করবে?