বরিশালটুডে ডেস্ক: চিকিৎসকসহ একাধিক নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। নির্দেশনা এলে অভিযুক্ত গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মুজাহিদুলের বিরুদ্ধে রোববার নাগাদ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মোবাইল ফোনে নাটোরের সিভিল সার্জন মশিউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলামকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি তার নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশনা চেয়েছেন। নির্দেশনা এলে যৌন হয়রানির ব্যপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মুজাহিদুলের বিরুদ্ধে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ‘চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরতদের খুশি হতে দেখা গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, তার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির কথা ভিত্তিহীন। মূলত মানহানি করতেই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অনুসন্ধানের সময় হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসক মুজাহিদুল এক তরুণীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওই তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল কমিটির সভাপতি প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ওই তরুণীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। ওই সময় নিজের যৌন কেলেঙ্কারির কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষমাও চান এই কর্মকর্তা।