রাজাপুরে ধর্ষণ মামলা , বিপাকে গৃহবধূর পরিবার!

রাজাপুরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে বিপাকে গৃহবধূর পরিবার

বরিশালটুডে ডেস্ক: ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে আসামীদের অব্যাহত হুমকি ও হামলা মামলার শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মুন্নি আক্তার নামে এক গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার বেলা ১১টায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে র‌্যাব ও পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে। মঠবাড়ি গ্রামে সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী মুন্নি আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২ জুলাই সন্ধায় প্রতিবেশী আবু বকর খানের ছেলে মিলন খান (৪৩) ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ চেষ্টা করে। বিষয় টি বাড়ির লোকজনকে জানালে উল্টো ওই বাড়ির বাহারুল ও বেল্লাল অভিযুক্ত মিলনের পক্ষ নিয়ে গৃহবধূ মুন্নিকে মারধর করে। বিষয়টি পরে শালিশ মিমাংসার কথা বলে অভিযুক্তরা নানা টালবাহানা শুরু করে।

এসব নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৪ জুলাই বিকেলে মিলন খান, বাহারুল, তার স্ত্রী লাভলী বেগম ও বেল্লালসহ প্রতিপক্ষরা মুন্নির দেবর সজীব হোসেন, জাল সুমা, ননদ শারমিন, শশুর নুর হোসেন ও দেবরের ৩ বছর বয়সের ছেলে আব্দুল্লাহকে লোহার রড ও ঝাড়- নিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং বসতঘরে হামলা চালায়।

এতে দেবর সজীব গুরতর আহত হয়ে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে গত ১৮ জুলাই ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিলন খান, বাহারুল হাওলাদার ও বেল্লালকে আসামি করে মামল (নং ১০৫/২৩) করেন। মামলাটি উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট তদান্তধীন আছে।

আদালতে মামলা দায়ের পর আসমীরা ও তাদের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি মামলার স্ব্ক্ষাীদেরকেও উপজেলা কৃষি অফিসে না যেতে নানাভাবে বাধা ও হুমকি দিচ্ছে।

মুন্নি আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরও জানান, আসামিরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় আদালতে মামলা দায়েরের পর আসামীরার ক্ষিপ্ত হয়ে পর পর তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় থাকা এ পরিবারটি পুলিশ, র‌্যাব ও বিচার বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বাহারুল হাওলাদার ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম জানান, হাটার পথ নিয়ে বিরোধ তাই তাদের নামে মিথ্যা নানা অভিযোগ দিচ্ছেন। তাদেরকেও মারধর করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অভিযুক্তরা। এসব ঘটনায়ও মামলা করা হয়েছে। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।