জুলাই অভ্যূত্থানে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭)। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বাউফল উপজেলার বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বাউফল উপজেলা ও পৌর বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল শহীদ হৃদয়ের কবর জিয়ারত করেন এবং নগদ এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন
এ সময় বাউফল উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কবির বিএনপির সাবেক সভাপতি বলেন,
“শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয় আমাদের প্রেরণা, আমাদের সাহস। তাঁর আত্মত্যাগ ছাত্র সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সব সময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন আহত হৃদয়ে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করে নেই বরঞ্চ তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্ট আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারকে টাকা না দেওয়া হয়রানি করা এবং সত্যিকার অর্থে যারা জুলাই আগস্ট আন্দোলনের আহত নিহত হয়েছে তাদের কোন প্রকারের আর্থিক সাহায্য না দিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এরই ফলশ্রুতিতে চিকিৎসার অভাবে এই জুলাই আগস্ট আন্দোলনের সত্যিকারের বীর কে হারালাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাউফল উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি সব সময় নিহত হৃদয়ের পরিবারের পাশে থাকবে
তিনি আরো বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত চিকিৎসা এবং শহীদদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হলেও ফাউন্ডেশনের হর্তাকর্তারা আহতদের পাশে না দাঁড়িয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে মড়িয়া। এ আন্দোলনের ফসল যে একটি গোষ্ঠী চুরি করেছে তা এখন দিন দিন প্রকাশিত হচ্ছে। এই গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জুলাই আন্দোলনের আহত এবং শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে। যার প্রমাণ হলো গত আট মাসেও আহত হৃদয়ের পাশে তারা দাঁড়ায়নি যার জন্য শহীদ হৃদয়ের যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব হয়নি।এর আগে আশিকুর রহমান হৃদয় গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে মিছিলে গেলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। দীর্ঘদিন মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগের পর অবশেষে গত ৪ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার পশ্চিম যৌথা গ্রামের রিকশা চালক আনসার হাওলাদার চার সন্তানের মধ্যে শহীদ হৃদয় সবার ছোট।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাউফল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মালেক খান, বাউফল উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন ফিরোজসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বাউফল উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ নেতাকর্মী।