
বরিশালে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে এবং সেটা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকেই দিতে হবে। এখন এই আদেশ যদি চুপ্পুর কাছ থেকে নিতে হয়, তাহলে তা হবে বিপ্লবের কফিনে শেষ প্যারাক। সুপ্রিম অব ফ্যাসিজম যদি চুপ্পুর কাছ থেকে অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হয়, এর থেকে লজ্জার কিছুই নেই। রবিবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত এনসিপির জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যারা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথের দিকে যাচ্ছে, যারা গণতান্ত্রিক উত্তরণ চাচ্ছে, দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী লড়াই সংগ্রাম করেছে, নিজের নেতাকর্মীর জীবন উৎসর্গ করেছে, রাজপথে রক্ত দিয়েছে, তাদের এবং অভ্যুত্থানের জায়গা থেকে, ফ্যাসিস্টের রূপকার থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের সনদ নেয়া কতটা নৈতিক? এটা কতটা প্রাসঙ্গিক তারাই বিবেচনা করবেন, কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে এ বিষয়ে অনঢ় অবস্থা পুনর্ব্যক্ত করছি, আদেশ জারি করতে হবে, কোন অধ্যাদেশ, প্রজ্ঞাপন নয় এবং অবশ্যইা সেটা ড. মুহাম্মদ ইউনুস করবেন। বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় তিনি আরও বলেন, তিনশ আসনেই সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যেন একটা গুণগত, কাঠামোগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে যেতে পারি, তার জন্য তার বড়ো দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। তিনি বলেন, জনগণ ম্যানডেট দিয়ে যাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে সেই আসবে, সেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করবে, এতে আমাদের কারও ভিন্নমত নেই। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, অভ্যুত্থানের আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করলেও আপনাদের মধ্যে একটি অংশ এখনও ফ্যাসিস্টকে নরমালাইজ করা, তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। শাপলা প্রতীক নিয়ে তিনি বলেন, একটি পলিসি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা বার বার ফোকাস করেছি, যে পলিসির কারণে তারা আমাদের শাপলা দিবে না, শাপলা কলি দিবে সেটার স্ট্যান্ডার্ড অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশনের ডিসিশনের কোনো রূপরেখা নেই। নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণে সংশয় প্রকাশ করছি। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, আবার যদি ব্যালট বাক্স চুরির ঘটনা ঘটে, আবার যদি যেনতেন নির্বাচন হয়, তখন যদি তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া তখন কি তারা এরকমই বলবে, ব্যাখ্যা নেই। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা।