বরিশালের বানারীপাড়া আগুনে পুড়লো আটটি দোকান ও একটি বসতঘর


স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উত্তরপাড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে আটটি দোকান ও একটি বসতঘর। স্থানীয়দের দাবি অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১১টি দোকান।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল পৌনে ৭টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে স্থানীয়দের দাবি অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১১টি দোকান।

বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, উত্তর পাড় বাজারের একটি ফার্মেসি থেকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে টিনের তৈরি পাশাপাশি আটটি দোকান ও একটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ১০ কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল হক জানান, অগ্নিকাণ্ডে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের পাঁচটি, তার চাচাতো ভাই অধ্যাপক জাকির হোসেনের পাঁচটি ও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন একটিসহ মোট ১১টি দোকান ঘরের সব মালামাল পুড়ে গেছে।

তিনি জানান, উত্তরপাড় বন্দর বাজারের নতুন লঞ্চঘাট রোডে ভাড়াটিয়া মো. শাহাদাতের মহিমা ফার্মেসির পেছনে বিকট শব্দ হয়। স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। বানারীপাড়া উত্তরপাড় ব্রিজসহ রাস্তা সরু হওয়ার কারণে সার্ভিস কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আগুনের তীব্রতা বাড়লে পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট যোগ দেয়।

আগুনে তানজিলের গুদামসহ ভাঙারি দোকান ও হাড়ি-পাতিলের ছয়টি দোকান, মো. জামালের লেপ-তোশক, তুলা ও ম্যাট্রেসের একটি গুদাম, মো. ইব্রাহিমের চায়ের দোকান, মো. শাহাদাতের ফার্মেসি, মো. বাদশার ভাঙারি দোকান এবং মো. জাকিরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ ১১টি দোকান পুড়ে গেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা তালুকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমিন জাহান পলি প্রমুখ।

উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।