বরিশাল নগরীর ৭নং ওয়ার্ড সাবান ফেক্টরি বাসিন্দা মরজিনা বেগম এর কন্যা তিন্নি আক্তার (২১) হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা ১১ টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত তিন্নির ভাই নাইম হোসেন জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ঝালকাঠির র্কীত্তিপাশা ,রুনসী তার নিজ শশুর বাড়িতে আমার বোনকে হত্যা করে তার স্বামীসহ শশুড়বাড়ির লোকজন। তারা বিগত দিনেও আমার বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। বহুবার যৌতুকের টাকাসহ বিভিন্ন অন্যায় আবদার করে তাকে নির্যাতন করে বরিশাল পাঠিয়ে দিয়েছে ওই হত্যাকারীরা। আমরা বিভিন্ন ভাবে সালিশ দরবার করে তাকে শশুড়বাড়ি দিয়ে আসি। আমরা আমার বোনের শরীরে বিভিন্ন স্থানে শারীরিক নির্যাতনের আলামত দেখে আমরা হত্যা দাবি করলেও পুলিশ আসামিদের পক্ষ নিয়ে বলছে আত্মহত্যা বলে চালাচ্ছে। তারা বলছে আসামিদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমরা খবর পেলাম আসামিরা নিজ এলাকাতেই বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে।
বাসদ এর বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান সময়ে পুলিশ আলামত দেখার পরও তিন্নির হত্যাকারীরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে হাটতে দেখা যাচ্ছে। এমন আচরণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে ৷ আজ ঘরে বাইরে এতো নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণই হচ্ছে প্রশাসনের নিরবতা। তিন্নি একটি সুন্দর সংসারের স্বপ্ন নিয়ে ঝালকাঠির র্কীত্তিপাশা নিজ শশুরবাড়ি গিয়ে ছিল। যৌতুকের মত ঘৃণ্য আবদারের কাছে তার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। ঝালকাঠি থানা ওসি এর সুষ্ঠ তদন্ত না করেই আসামিদের পক্ষ নিয়ে তিন্নি হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। পরিবার থেকে হত্যা মামলা দিলেও আসামিদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। আমাদের দাবি মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একজন গৃহবধূ কিভাবে মৃত্যুবরন করলো তার তদন্ত না করেই আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চান তাহলে অন্যায়ের পক্ষে কথা বলা হলো। আমরা ন্যায়ের পক্ষে থেকে অপরাধীদের শাস্তি দেখেতে চাই।
প্রসংগত ২০ ফেব্রুয়ারী ঝালকাঠির র্কীত্তিপাশা , রুনসী গ্রামে নিজ শশুর বাড়িতে খুন হন তিন্নি। পরিবারের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি থানায় ধারা-৩০২/৩৪ এ মামলা করা হয়, মামলা নং-২২, তাতে আসামি মোঃ রাকিব তালুকদার (২২), পিতা- নাসির তালুকদার, রুনসী, ০৫নং কীর্তিপাশা ইউনিয়ন বাসিন্দা। তিন্নি আক্তার (২১) কে মৃত পরিকল্পিত ভাবে মারধর করে হত্যা করে বলে দাবি করা হয়। পরে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় আসামীরা। ময়না তদন্তের শেষে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দিতে বিলম্ব করে ঝালকাঠি থানা পুলিশ।