বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি শপিং মলের পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বরগুনা সদর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করতে বরগুনার পাবলিক রিলেশন অফিসারকে (পিআরও) ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষাসহ ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত মো. রিয়াজ (২১) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি মো. রিয়াজ ও ভিকটিম একই গ্রামের পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকায় রিয়াজ ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এক পর্যায় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ ভিকটিমকে নিয়ে বরগুনা পৌর শহরের আল মিজান শপিং কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় একটি খাবার হোটেলে বসে দীর্ঘ সময় গল্প করেন। এরপর এক পর্যায় তারা দুজনে সেখান থেকে উঠে আশপাশে হাঁটতে থাকে। রিয়াজ সুযোগ বুঝে পঞ্চম তলায় একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ভিকটিমকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ১৩ নভেম্বর বরগুনা সদর থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা নেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী বলেন, আমি রিয়াজকে ধর্ষণে বাধা দিয়েছি। রিয়াজ কোন বাধা মানেনি। রিয়াজ আমাকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার দিলে রিয়াজ খুন জখমের ভয় দেখায়। রিয়াজ আমাকে ধর্ষণ করে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমি রিয়াজকে ফোন করলে সে ফোন ধরে না। রিয়াজ আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করেনি। বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেছে। আমি ১৩ নভেম্বর বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে রিয়াজের পরিবারের সদস্য ও অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। রিয়াজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা আমি শুনিনি। থানায় কেউ মামলা করতেও আসেনি। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসলে কিংবা ঘটনার সত্যতা থাকলে আমি মামলা নিয়ে থাকি।