বরিশঅলটুডে ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন নাসির।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লীগে খেলতে যান নাসির হোসেন। সেখানে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন তিনি। এমন অভিযোগ তুলেছে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আইসিসি জানায়, খেলোয়াড় এবং অফিসিয়াল মিলিয়ে মোট আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে এমিরেটস বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছেন সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলা নাসিরও।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল জানিয়েছে, নাসির আইসিসির ২.৪.৩ ধারা, ২.৪৪ ধারা এবং ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গ করেছেন। ৭৫০ মার্কিন ডলার (৮২ হাজার ১৫০ টাকা) সমমূল্যের উপহারের বিষয়টি আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী কমিটি ডেজিগনেটেড এন্টি করাপশন অফিসিয়ালকে (ডিএসিও) দেখাতে না পেরে ২.৪.৩ ধারাটি ভঙ্গ করেন নাসির। ২.৪.৪ ধারায় দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব পেয়েছিলেন কি না, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কি না, তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিএসিও প্রতিনিধিকে তা বিস্তারিতভাবে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কোনো যুক্তি ছাড়াই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ২.৪.৬ ধারাটি ভঙ্গ করেন নাসির।
নাসির বাদে অভিযুক্ত আট জনের মধ্যে আরো ২ জন ক্রিকেটার রয়েছেন। তারা হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সালিয়া সামান ও রিজওয়ান জাভেদ।
ভিন্ন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির কো-ওনার কৃষ্ণা কুমার চৌধুরী এবং পরাগ সংঘভিও রয়েছেন অভিযুক্তদের তালিকায়। বাকি তিনজন হলেন টি-টেন লীগের বিভিন্ন দলের কোচিং স্টাফ- ব্যাটিং কোচ আশহার জায়েদি, সহকারী কোচ সানি ধিলন এবং টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদ।