এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড গড়ল!

বরিশালটুডে ডেস্ক: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২,৯০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের।এ নিয়ে অগাস্টের প্রথম ১৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হল ৩৩,৫৭৯ জন রোগী। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৫,৪১১ জনে।

মশাবাহিত এ রোগে এ বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৯৮ জন।তাদের মধ্যে ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চলতি অগাস্ট মাসের ১২ দিনে। বাংলাদেশে কেবল ২,০১৯ সালে এরচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যু এ বছরই প্রথম। ভর্তি রোগী ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ১,০৪২ জন। ঢাকার বাইরে এর প্রায় দ্বিগুণ ১,৮৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত একদিনে ঢাকায় ৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯,৭৩৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪,৩৩৫ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৫,৩৯৮ জন। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছিল বর্ষা মৌসুমের আগেই। ভরা বর্ষায় জুলাই মাসে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।

জুলাই মাসের ৩১ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৩,৮৫৪ জন রোগী, মৃত্যু হয় ২০৪ জনের। এক মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা এ বছরের মোট সংখ্যার অর্ধেকের বেশি। এছাড়া জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ২৮১ জনের।