বরিশালটুডে ডেস্ক: বিদেশে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলা, দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথা, দলীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগসহ নানান বিষয়ে একের পর এক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আদম তমিজী হক। এবার দেশে ফোরার ঘোষণা দিয়ে হক গ্রুপের এমডি আদম তমিজী হক বলেছেন, ‘আমি দেশে ফিরে আসব দেখি আমাকে কে আটকায়। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে আদম তমিজী হক এ কথা বলেন।
আদম তমিজী হক লিখেন, ‘বাংলাদেশের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আপনারা এত বড় খেলার কথা বলছেন কিন্তু আপনারা এখন আমার ফেসবুক ব্লক করতে ভয় পাচ্ছেন? আমি বলেছিলাম, যুক্তরাজ্যে আমার স্ত্রীদের আশ্রয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঢাকায় (বাংলাদেশ) যাব, দেখি কে আমাকে বিমানবন্দরে থামায়। তারা (আওয়ামী লীগ) যেই হোক না কেনো কেউ আমার পরিবার বা আমার সম্পত্তির পিছনে লাগতে আসবেন না। হক (হক গ্রুপ) আওয়ামী লীগের অনেক আগে থেকে ছিল ও থাকবে এবং আপনারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত যাবেন।’
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’
এরপর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ানো ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আদম তমিজী হককে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বেশ কয়েকদিন ধরে আদম তমিজী হকের ফেসবুক পোস্ট, লাইভ ও ভিডিও নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তমিজী হকের অভিযোগ- গাজীপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন আদম তমিজী হক। সে সময় তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। এরপর ওই বছরের নভেম্বর মাসে ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হয়।